রকেট উড্ডয়নে ব্যবহার করা হয় তরল অক্সিজেন। তবে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সে অক্সিজেন এখন বেশি প্রয়োজন হাসপাতালে। তাই আসন্ন রকেট উড্ডয়ন পেছানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অ্যাটলাস ফাইভ রকেটে ‘ল্যান্ডস্যাট ৯’ কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) পাঠানোর কথা ছিল মহাকাশে। নাসা এবং মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের যৌথ প্রয়াস সেটি। এখন অন্তত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রকেটটির উড্ডয়ন পিছিয়েছে নাসা।
রকেট উড্ডয়ন পেছালে সমস্যা কী?
ল্যান্ডস্যাট ৯ স্যাটেলাইটের সাহায্যে প্রতি আট দিনে একবার পৃথিবীর ছবি তোলা হয়। বিজ্ঞানীরা তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। ল্যান্ডস্যাট ৯-এর প্রকল্প বিজ্ঞানী জেফ ম্যাসেক স্যাটেলাইটটিকে সুইস আর্মি ছুরির সঙ্গে তুলনা করেন। এক সেট তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞানের নানাবিধ ব্যবহারে তা কাজে লাগানো হয় বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রকেট উড্ডয়নে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় কেন?
কোনো কিছু পোড়ানো মানে সেটার ‘অক্সিডাইজ’ করা। পৃথিবীতে আগুন জ্বালালে বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে নিতে পারে। তবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পেরোলে সে সুযোগ আর থাকে না। তখন রকেটের নিজস্ব অক্সিজেনের দরকার হয়, তা-ও বিশাল পরিমাণে। ১৯২০-এর দশকে মার্কিন পদার্থবিদ রবার্ট এইচ গডার্ড রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষায় তরল অক্সিজেনের ব্যবহার শুরু করেন।
তরল অক্সিজেন কীভাবে তৈরি হয়?
তরল অক্সিজেন তৈরির জন্য প্রকৌশলীরা বাতাস টেনে নিয়ে অতি শীতল তাপমাত্রায় তা তরলে রূপান্তর করেন। এরপর সে তরল থেকে ডিস্টিলেশন বা অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন আলাদা করা হয়।
চিকিৎসায় রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া মানে স্বাভাবিকের চেয়ে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো। চিকিৎসকেরা সেটাই নিশ্চিত করেন। সেটা শতভাগ নিখাদ অক্সিজেন হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে রকেটের বেলায়, নিখাদ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। কারণ, সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ব্যাপার আছে।